শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
Online Edition

‘বাংলাদেশের খবর’সহ মাগুরা গ্রুপের সকল মিডিয়া বন্ধে বিএফইউজে ডিইউজের উদ্বেগ

 

দৈনিক সংবাদপত্র ‘বাংলাদেশের খবর’-সহ মাগুরা গ্রুপের সকল মিডিয়া বন্ধের সংবাদে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো চালু কিংবা বন্ধ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিক-কর্মচারীদের আইনানুগ প্রাপ্য পাওনা পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন নেতারা।

গতকাল রোববার বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নূরুল আমিন রোকন এবং ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর’ ২২) সন্ধ্যার পরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ নিউজ এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের সকল মিডিয়ার প্রকাশনা বন্ধের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে বাংলাদেশের খবর, বাংলাদেশ নিউজ ও দিনপরিবর্তন পত্রিকা তিনটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল। হঠাৎ করে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় শতাধিক সংবাদকর্মী বেকার হয়ে অনিশ্চয়তা মধ্যে পড়েছে।  

নেতৃবৃন্দ এটিকে গণমাধ্যমের জন্য ‘অশনি সংকেত’ উল্লেখ করে বলেন, প্রকাশনা বন্ধের অজুহাত হিসেবে কর্তৃপক্ষ অব্যাহত লোকসান, কাগজসহ কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি ও দু®প্রাপ্যতা, সরকারী নীতি সহায়তার অভাব, গ্রাহক সংখ্যা হ্রাস, অপ্রতুল বিজ্ঞাপনসহ নানা কারণ দেখিয়েছেন। এর আগেও কর্তৃপক্ষ একাধিকবার ঠুনকো অজুহাতে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সাংবাদিক-কর্মচারী জবরদস্তি ছাটাই করেছে। বেতন-ভাতা পরিশোধেও কোনো নিয়মের বালাই ছিল না। বর্তমানেও প্রতিষ্ঠানটিতে কয়েক মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি হঠাৎ বন্ধের ঘোষণা নিয়মমাফিক করা হয়েছে কি-না, তা তদন্তের প্রয়োজন বলে বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন।

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকারের স্বাধীন গণমাধ্যমবিরোধী নীতির কারণে দেশের সংবাদমাধ্যম জগতে এক যুগ ধরে অমানিশা বিরাজ করছে। তার ওপর বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমণের পর থেকে গণমাধ্যম বহুমুখী সংকটে পড়ে। বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন কমে যাবার প্রভাব পড়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর। ফলে ছাঁটাই, বাধ্যতামূলক ছুটি, অনিয়মিত বেতন নৈমত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। দুরবস্থা কাটাতে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে বারবার সহায়তার দাবি জানানো হলেও সরকার শুধু নির্বিকার থাকেনি, অনেক ক্ষেত্রে বৈমাত্রেয়সুলভ আচরণ করেছে। যার সর্বশেষ পরিণতি হিসেবে তিনটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে সাংবাদিক-কর্মচারীদের বেকার হতে হলো। আগামী দিনে এসব সাংবাদিক-কর্মচারীর পরিবার কিভাবে চলবে, সেই অনিশ্চয়তাও প্রকট হয়ে ওঠেছে।

বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে বন্ধ প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিক-কর্মচারীদের ন্যায্য সকল পাওনা পরিশোধের দাবি করেছেন। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় চালুর বাস্তবমুখী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মাগুরা গ্রুপ ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ